১৮৯৮ খ্রীষ্টাব্দের ১৭ই মার্চ-দিনটি রামকৃষ্ণ
-বিবেকানন্দ ভাবান্দোলনের ইতিহাসে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক দিন। জগজ্জননী
শ্রীশ্রীমা সারদামণির সঙ্গে প্রথমবারের জন্য দেখা করতে চলেছেন সিস্টার নিবেদিতা,তখনও মিস্ মার্গারেট নোবল,‘নিবেদিতা'হতে তখনও আটদিন বাকি। ১০/২ নং বোসপাড়া লেন,বাগবাজার- সেই বাড়ির ঠিকানা,যা সেই ঐতিহাসিক ক্ষণের সাক্ষী, যেখানে মা
তখন ছিলেন। সিস্টারের সঙ্গে রয়েছেন মিসেস বুল ও মিস ম্যাকলাউড। দিনটি
খ্রিস্ট-ধর্মাবলম্বীদের কাছে পবিত্র,কারণ কাকতালীয়ভাবে সেটি সেন্ট প্যাট্রিকের জন্মদিবস।
মায়ের কথা মার্গারেট বহু শুনেছেন,এক স্বাভাবিক অনুকম্পা জাগ্রত হয় মায়ের কথা ভাবলেই;স্বয়ং মা তাঁকে কীভাবে গ্রহণ করবেন সেই নিয়ে
তিনি চিন্তায়,তিনি যে তাঁর স্বদেশ পরিজন
ছেড়ে পাকাপাকি ভারতে চলে এসেছেন তিনমাস হল,ভারতের একজন হয়ে উঠতে। ভারতের কাজ করতে,ভারতকে জানতে,ভারতকে উত্থিত করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ার
প্রাকমুহূর্তে যাঁর বরাভয় যাঁর আশীর্বাদ সবচেয়ে প্রয়োজন, তাঁর সঙ্গেই যে সাক্ষাৎমুহূর্ত উপস্থিত।
উৎকন্ঠায় স্বয়ং স্বামীজীও। স্বামীজীই
বিদেশিনী ভক্তদের মায়ের কাছে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। তিনি জানতেন,যে কাজের জন্য মার্গারেটকে তিনি ভারতাত্মার
কাছে উৎসর্গ করতে চলেছেন,তার প্রথম সোপানই হল মায়ের স্নেহসান্নিধ্য,মা কেমনভাবে গ্রহণ করেন তাঁদের! মায়ের
অবস্থান উত্তর কলকাতার অতি রক্ষণশীল বাগবাজার পল্লীরর একটি গলিতে,হিন্দু ব্রাহ্মণ পত্নী,আরও অজস্র হিন্দু রক্ষণশীল নারী দ্বারা পরিবৃতা,সমাজ যাঁর কাছে মাথা নত করেছে শ্রদ্ধায়,কিন্তু সমাজের ভ্রুকুটি ছাপিয়ে যাওয়া সম্ভব
হয়নি তখনও।
মার্গারেটরা মায়ের ঘরে প্রবেশ করতেই মা
তাঁদের ‘আমার মেয়ে'বলে কাছে টেনে নিলেন,অভ্যর্থনায় ঝরে পড়ল মায়ের অপরিসীম স্নেহ,অপার্থিব করুণা- যেন কতদিনের পরিচয়,যেন এই সম্পর্ক তৈরি হবারই ছিল,ভাষার সমস্যা ছিল,কিন্তু ভাববিনিময় হল,তা কালের ইতিহাসে সংরক্ষিত নয়,কিন্তু সিস্টার তাঁর তীক্ষ্ণ অন্তর্দৃষ্টিতে
বুঝতে সম্মত হলেন যে এই মহীয়সী নারী আর পাঁচজনের মধ্যে থাকলেও যেন একেবারে আলাদা, যেন কোন ভাবরাজ্যে বিরাজ করছেন,অথচ যাঁকে পরিবৃত করে রেখেছে এক অনাড়ম্বর
অত্যন্ত সাধারণ জীবন। তাঁর সামনে গেলে হৃদয়ে প্রশান্তি ছেয়ে যায়,আর সামান্য দূর হলেই অমোঘ টান,আকর্ষণ অনুভব করতে হয়। দুপুরে প্রসাদ পাবার
সময় মা স্বয়ং তিন বিদেশিনীর সঙ্গে এক পংক্তিতে বসলেন,যা কিনা স্বামীজী ও অন্যান্য সন্ন্যাসীর
কাছেও অপ্রত্যাশিত- কিন্তু যার তাৎপর্য অসামান্য,এক লহমায় তাঁদের হিন্দুসমাজে স্বীকার করে
নিলেন শ্রীশ্রীমা,মার্গারেটের এই সমাজের অন্তর্ভূক্ত হয়ে এই সমাজের জন্য কাজ
করতে কোনও বাধা আর রইল না,’ভারতের একজন'হয়ে ওঠার সবচেয়ে বড় শংসা তাঁর পাওয়া হয়ে গেল
"তাঁহার মধ্যে দেখা যায়,অতি সাধারণ নারীরও অনায়াসলভ্য জ্ঞান ও
মাধুর্য;তথাপি আমার নিকট তাঁহার
শিষ্টতার আভিজাত্য ও মহৎ উদার হৃদয় তাঁহার দেবীত্বের মতোই বিস্ময়কর মনে
হইয়াছে।" শ্রীমায়ের সম্বন্ধে পরবর্তীকালে লিখেছিলেন সিস্টার। এই ১৭ই মার্চ
দিনটি যাঁর ব্যক্তিগত ডায়েরিতে "ডে অফ ডেজ"বা "সেরা দিন"। এই ১৭ই মার্চকে
কেন্দ্র করে দু'সপ্তাহের ব্যবধানে দুটি
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটছে তাঁর জীবনে। প্রথমটি মায়ের সঙ্গে সাক্ষাতের ৬ দিন
আগে,১১ই মার্চ ভারতের মাটিতে
প্রথম বক্তৃতা করেন কলকাতার স্টার থিয়েটারে যা বিদ্বজ্জন ও পন্ডিতমহলে বিপুল
আলোড়নের সৃষ্টি করল। দ্বিতীয় ঘটনাটি ৮ দিন পরের এবং সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ;গুরু স্বামী বিবেকানন্দ তাঁকে দীক্ষা দিয়ে
মার্গারেট থেকে ‘নিবেদিতা'য় উন্নীত করলেন। ভারতমায়ের চরণকমলে এক প্রকৃত
সিংহীকে নিবেদন করলেন স্বামীজী।
মঠ তখন নীলাম্বর মুখার্জীর বাগানবাড়িতে;এর দু'সপ্তাহ পরে ৭ই এপ্রিল শ্রীমা প্রথম বেলুড়ে
আসেন মঠের জমি দর্শন করতে। সিস্টারের ওপর দায়িত্ব পড়ল মাকে সমস্তকিছু ঘুরিয়ে
দেখানোর,সঙ্গে রইলেন সারা বুল ও
ম্যাকলাউড। এই সময়কাল নিবেদিতার আভ্যন্তরীণ জগতের প্রস্তুতিকালীন অধ্যায়। ভারতকে,ভারতের সমাজকে ও তার মানুষকে তিনি চিনছিলেন,জানছিলেন ও হৃদয়ঙ্গম করছিলেন। বাগবাজার
পল্লীর মানুষজনের সাথে নিজেকে একাত্ম করে নিচ্ছিলেন। এইসময় তিনি ভারতকে চিনছেন
মাকে সামনে রেখে;মা যেন হয়ে উঠেছেন তাঁর সামগ্রিক অন্তরাত্মার গোপন
ভরসাস্থল। "আমার সবসময় মনে হইয়াছে,তিনি যেন ভারতীয় নারীর আদর্শ সম্বন্ধে
শ্রীরামকৃষ্ণর শেষ বাণী। কিন্তু তিনি কি একটি পুরাতন আদর্শের শেষ প্রতিনিধি অথবা কোন
নূতন আদর্শের অগ্রদূত?" মাকে নিয়ে লিখেছেন নিবেদিতা।
স্বামীজী যেন বারবার করে চাইতেন নিবেদিতা আর
যা করেই হোক,আঁকড়ে থাকুক শ্রীমাকে।
তিনি কি জানতেন,যে গুরুকে ভরসা করে
নিবেদিতা ভারতে এসেছেন সমস্ত ছেড়ে,তিনি নিজেই আর বেশিদিন থাকবেন না?অথচ নিবেদিতার এখানে বিস্তর কাজ,একটা জাতির মেয়েদের হাত ধরে টেনে তুলতে হবে,নিবেদিতাকে বড় আপন করে নেন শ্রীমা,তিনি তো নিশ্চয় জানতেন ভাবী রামকৃষ্ণ
বিবেকানন্দ ভাবান্দোলনে এই নিবেদিতা অনেক বড় অক্ষরে লিখে রাখার মত নাম হতে চলেছে।
নিবেদিতা এই সময় থেকে শ্রীমায়ের কাছে
সম্পূর্ণ সমর্পণ করছেন নিজেকে। মায়ের সঙ্গে একত্রে কখনও থাকছেন,কখনও গরমের সময় মা তাঁর নিজের অপেক্ষাকৃত
ঠাণ্ডা ঘরে তাঁকে ডেকে নিচ্ছেন;মায়ের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র আচরণও নিবেদিতা নজর করছেন,প্রবল কর্মকান্ডের মাঝেও পরবর্তীতে যা তাঁকে
অনেক সিদ্ধান্ত নির্বাচনে সাহায্য করেছিল। শ্রীমায়ের চরিত্রের একটি বিশেষ দিক
আলোকপাত করেছেন নিবেদিতা,যা তাঁর মতো সুতীক্ষ্ণ বিচারবুদ্ধি সম্পন্না মহতী নারীর কাছ
থেকেই আশা করা যায়। সঙ্ঘের সকলেরই প্রধান উপাস্য স্বয়ং শ্রীরামকৃষ্ণ,যাঁর পত্নী শ্রীমা;আবার তিনি তাঁর শিষ্যাও বটে। নিবেদিতা
জানাচ্ছেন,মায়ের কোনও ক্ষুদ্র আচরণেও
কখনো ভাব প্রকাশ হয়নি যে তাঁর সঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণর কোন অতিরিক্ত সম্পর্ক ছিল,যা অন্যদের থেকে আলাদা- "তাঁহার পরিচয়
জানে না,এমন কেহ তাঁহার কথাবার্তা
হইতে বিন্দুমাত্র অনুমান করিতে পারিবে না যে, উপস্থিত অপর সকলের অপেক্ষা তাঁহার সম্পর্ক
নিকটতর। মনে হয়,পূর্বের ন্যায় পত্নীর নিষ্ঠাটুকু
ব্যতীত পত্নীভাব তাঁহার মধ্য হইতে বহুকাল চলিয়া গিয়াছে- যেখানে আছে শুধু
"আমি শিষ্যা" এইভাব।"
শ্রীমায়ের মাতৃহৃদয়ও যেমন নিবেদিতার জন্য
সর্বদা উদ্বেলিত হত,আবার মায়ের প্রখর দূরদৃষ্টি তাঁকে হিন্দুসমাজের প্রতিষ্ঠিত
একজন করে তোলার জন্য তৎপরতাও দেখিয়েছিল। নিবেদিতা একবার যেমন নিজে ভোগ রেঁধে
ঠাকুরকে নিবেদন করেন ও সেই প্রসাদ মাকে দেন,মা পরম আনন্দে সেই প্রসাদ গ্রহণ করেন। এতে
গোঁড়া মেয়েমহলে এমনকী মায়ের পার্ষদদের মধ্যেও চাঞ্চল্য পড়ে যায়,এক বিদেশিনীর হাতের রান্না এক ব্রাহ্মণী
বিধবা গ্রহণ করলেন! মায়ের সিদ্ধান্ত কঠোর;নিবেদিতা তাঁর মেয়ে,ঠাকুরকে ভোগ রেঁধে নিবেদন করার অধিকার তাঁর
আছে,সেই প্রসাদও তিনি নেবেন,এমনকী মা জানিয়ে দিলেন,যার এতে আপত্তি থাকে সে নিজেকে নিয়ে থাকুক।
অর্থাৎ,আর যে খুশী থাক,মায়ের আদরের ‘খুকি’র স্থান সবার ওপরেই থাকবেই।
স্বামীজীর শরীর যাবার পনের দিন পরে তিনি
রামকৃষ্ণ সঙ্ঘ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন(১৯ জুলাই, ১৯০২),অমৃতবাজার পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিবেদিতা
সর্বসাধারণের কাছে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন। কিন্তু কখনও মঠের সন্নাসীদের
সঙ্গে সম্পর্কচ্যুত হননি,কেবল স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য অগ্রসর হচ্ছিলেন। আর আঁকড়ে
ছিলেন মাকে। সম্পদে-বিপদে সংরাগে-বিরাগে তাঁর বিপুল কর্মকান্ডের ব্যস্ততার মধ্যেও
বারবার ছুটে যাচ্ছেন মায়ের কাছে,আর যেন ছোট্ট সরল শিশুর মতো মায়ের আদরের খুকিটি হয়ে হয়ে
যাচ্ছেন সেখানে। মাথার ওপর কাজের এত চাপ,তবু যেন মায়ের কাছে গেলে তাঁর ধ্যানগম্ভীর
মূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে সব প্রশান্ত, যেন স্নেহের ধারায় সিঞ্চিত হচ্ছেন,মন যেন মাঝসমুদ্রের অতল শান্ত জল। শ্রীমায়ের
পূজার্চনা,জপধ্যান ও গুরুপ্রণাম
তাঁকে কী যেন চুম্বকের টানে আকর্ষণ করত,এই সময়ে মায়ের কাছে মায়ের পাশে থাকতে পারাকে
তিনি ‘পরম ভাগ্য' মনে করতেন;ডায়েরীতে তিনি লিখেছেন, "শ্রীমা যখন পূজা করিতে
বসেন,তাঁহাকে কী সুন্দর দেখায়!
সেই মুহূর্তে আমি তাঁহাকে সর্বাপেক্ষা ভালবাসি।"
১৯০৯ খ্রীষ্টাব্দের ২৩ শে মে
"উদ্বোধন" বাড়িতে পদার্পণ করে শ্রীমা দোতলার ঠাকুরঘরে শ্রীশ্রীঠাকুরের
পুজো করেন;যে বেদীর ওপর ঠাকুরকে
বসানো হয়,তার জন্য একটি মনোরম
চন্দ্রাতপ নিবেদিতাই নিজের হাতে তৈরি করেছিলেন এবং সেটিই ব্যবহার করা হয়। শ্রীমার
জন্য নিবেদিতা বিদেশ থেকে একটি জার্মান সিলভারের কৌটো এনে উপহার দেন,মা ওটিতে ঠাকুরের কেশ রাখতেন এবং অতি যত্নে
পূজার সময় কৌটোটি দেখলেই তাঁর নিবেদিতার কথা মনে পড়ে যায়। মায়ের মন জুড়ে এতখানি
স্থান তাঁর ‘খুকি’র জন্য।
শ্রীশ্রীমায়ের সঙ্গে মায়ের শেষ সাক্ষাৎ ১২ ই
মে,১৯১১,উদ্বোধন বাড়িতে। মধ্যবর্তী এই সাড়ে তের বছরে
নিবেদিতার জীবন ও কর্ম বহু গুরুত্বপূর্ণ বাঁক অতিক্রম করেছে। বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাই
কি তাঁর জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ,অথবা সমগ্র কর্মকান্ডের শিকড়? যেখান থেকেই ভবিষ্যতের কুসংস্কার গোঁড়ামিহীন
শিক্ষিতা হিন্দুনারীর জাগরণের স্থায়ী ঠিকানা রচিত হবে,যাঁরা কিনা সমাজকে নাড়া দেবে,যাঁরা হবে প্রাচীন ভাবসম্পদের অধিকারিণী,কিন্তু মনস্কতায় আধুনিক একাধারে উত্তরসূরির
আদর্শ। ১৩ই নভেম্বর ১৮৯৮, রবিবার,কালীপূজার দিন,নিবেদিতার ১৬ নং বোসপাড়া লেনের বাসভবনে যে
বিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠা শ্রীশ্রীমা,স্বামীজী ও অন্যান্য সন্নাসীর উপস্থিতিতে,শ্রীশ্রীমা স্বয়ং প্রতিষ্ঠাকালীন পূজা
সম্পন্ন করে আশীর্বানী করে যার শুভসূচনা করলেন,"কেন জানি না,শ্রীশ্রীমায়ের উচ্চমন ও হৃদয়ে এই
আরব্ধকার্যের বিষয় বর্তমান আছে এবং তিনি ইহার কল্যাণ কামনা করিতেছেন,এইটুকু জানাই আমার নিকট আশীর্বাদস্বরূপ,এবং হৃদয় ভরিয়া গিয়াছিল।" উত্তরপথের দিকে
চেয়ে ভগিনী নিবেদিতার সবচেয়ে বড় আশ্রয়স্থল শ্রীমায়ের কাছে সবচেয়ে বড় সমর্পণ,"ভবিষ্যতের শিক্ষিতা হিন্দু
নারীজাতির পক্ষে শ্রীশ্রীমায়ের আশীর্বাদ অপেক্ষা কোন মহত্তর শুভ লক্ষণ আমি কল্পনা
করিতে পারি না।"
সহায়ক গ্রন্থ:-
১) স্বামীজীকে যেমন দেখিয়াছি- ভগিনী নিবেদিতা
২) ভগিনী নিবেদিতা- প্রবাজিকা মুক্তিপ্রাণা
৩) শতরূপে সারদা
৪) নিবেদিতা লোকমাতা- শঙ্করীপ্রসাদ বসু
প্রিয়ম মজুমদার
_________________________________________________________________________________
লেখক পরিচিতিঃ
প্রিয়ম মাহেশ শ্রীরামকৃষ্ণ আশ্রম বিদ্যালয়ের
প্রাক্তন ছাত্র,প্রাণিবিদ্যায় স্নাতক এবং
বর্তমানে স্নাতকোত্তর পাঠরত।
No comments:
Post a Comment