মানুষটা একসঙ্গে পাঁচ সাতটা খুন ক'রে ফেলে
কারণ
সে খুনের থেকে দূরত্ব রাখছিল বহুদিন
ধ্যানও করছিল,
সাইবার কাফের যন্ত্রে মেডিটেশনের দৃশ্য খুঁজে
মাঝে মধ্যে তার ফাঁকে খারাপ সিনেমা উঁকি দিলে
চোখ বন্ধ করে সরে গেছে
এভাবে অনেকদিন নিজের ছায়ার থেকে দূরে
পালাতে পালাতে শুধু মিলেছে রাতের কাছে ক্ষণিক আশ্রয়
এবং সেদিনও ভোরে দুর্গানাম জপ করে উঠে
হাঁটার রাস্তায় সেই ভিখিরিকে দশ টাকা দিয়ে
সব ঠিকঠাক, আর হঠাৎ কিভাবে
ওর হাতে চলে আসে খোলা পিস্তল, তাতে টোটার গন্ধ
তার ধাতুতে কি নেশাময় মৃত্যুর ছোবল
আর অতর্কিতে দেয় ধাক্কা কে বা কারা, পুরনো ক্ষতয়
তার হাঁটু দুমড়ে যায়
তার কোমর থেবড়ে পড়ে, লোকটা
অব্যর্থ ভাবে পাঁচ সাতটা খুন করেছিল
তারপর তার মুখটা দেখার মতোন
পাঁচ সাতটা খুনের যে কালো কালো টিকটিকি
গিরগিটি গোসাপ কুমীর তারা ত্বকের নিচেই
আসছে যাচ্ছে,
তার সঞ্চিত ব্যক্তিগত পুণ্য সব
প্রাণপণে ধরে রাখছে লড়ছে পালাচ্ছে
তবু লোকটা পালাচ্ছে না, কোথায় পালাবে ?
সে রিভলবার হাতে করে বসে আছে
ভিতরের যুদ্ধ শেষ শান্তি সুনিবিড়
তুমি যেখানে যাচ্ছ নিয়ে সেখানে সে ধীর পায়ে যাবে
বহতা অংশুমালী
১৯৯৮
প্রথম পাঠেই ভাল লেগেছিল বহতা। আজকাল খুব কম জিনিসই ভাল লাগে। কবিতা তো আরও কম। এরকম লেখা আরও বেশি করে দরকার। একটা সিরিজ করে ফেল। নিদেনপক্ষে অনেকগুলো লেখা... যা পরে একটা বই হয়ে বেরোতে পারে।
ReplyDeleteHi ha a ha ha. Thanku D
Deleteচিৎকৃত ও চুপ। একইসাথে।
ReplyDeleteBarbar porechhi kobita ta...ayto bhalo legechhe! Aaro lekha porte chai Bahata'r :-)
ReplyDelete