
নিবেদিতা স্কুলে পড়ার সুবাদে আমরা যেভাবে যতটা সিস্টারের কথা জেনেছি, বাইরের জগত জানে তার চেয়ে অনেক কম। ১০০% বাঙালি রামকৃষ্ণ-সারদা-বিবেকানন্দের নাম জানলেও অনেকেই আজও সিস্টারের নাম শোনেননি। যে পোড়াদেশের জন্য নিজের ঘরবাড়িদেশ ছেড়ে একবাক্যে চলে এলেন ওই অল্প বয়সে; ভিন্ন জল-হাওয়ায়, সংস্কৃতিতে মানিয়ে গুছিয়ে অকল্পনীয় পরিশ্রম আর কর্মযজ্ঞের মধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়লেন, সে-দেশ তাঁকে মনে রাখল কী রাখল না এসব ঠুনকো বিষয় নিয়ে চিন্তা করে আয়ুক্ষয় করার মতো মানুষ তো তিনি নন। তিনি নিবেদিতা। অপরিমেয় শক্তি আর সাহস নিয়ে, দুঃসাধ্য কাজের সংকল্প নিয়ে... জেদ, পরিশ্রম আর সংঘর্ষের মধ্যে দিয়ে তাঁর যাত্রা। জীবনে কাজকে ঈশ্বরপ্রতিম জ্ঞান করেছেন। অসহনীয় শারীরিক, মানসিক এবং আর্থিক কষ্টের মধ্যেও লক্ষ্যে অবিচলিত থেকেছেন। উত্তর কলকাতার রক্ষণশীল পাড়ায় মেয়েদের স্কুল খোলা থেকে শুরু করে ভারতের সশস্ত্র বিপ্লবের কর্মকান্ডের অংশীদার হওয়া বা দেশের শিল্প-বিজ্ঞান-ইতিহাস নিয়ে গবেষণা ও চর্চার পৃষ্ঠপোষকতা ও প্রেরণা জুগিয়ে তিনি সঠিক অর্থে এদেশের আত্মাটিকে উদ্ভাসিত করতে চেয়েছিলেন। আমাদের সকলের চেয়ে মনে-প্রাণে, কথায়, কাজে তিনি অনেক বেশি ভারতীয়, "...who gave her all to India".
আজ সিস্টারের সার্ধশতবর্ষপূর্তির দিনে, তাঁর স্কুলের ছাত্রী হিসেবে অনেক শ্রদ্ধা ভালবাসা ও গর্বের সঙ্গে অপাঠ্য-র এই সংখ্যাটি উৎসর্গ করলাম আমরা। এবারের বিষয় ছিল সিস্টার নিবেদিতা ও তাঁর স্কুল। প্রাক্তন ছাত্রীদের পাশাপাশি এবারের অপাঠ্যয় রইল স্কুলের বাইরের মানুষজনেরও শ্রদ্ধার্ঘ্য। আই আই এস সি-র বিজ্ঞানী, বিদ্যাসাগর কলেজের ছাত্র ও অধ্যাপকদের লেখা, একজন অভিভাবকের লেখাও, যিনি আধুনিক বাংলা সাহিত্যের এক উজ্জ্বল কবি। প্রাক্তনীদের লেখার মধ্যে রইল সিস্টারের জন্মস্থান ডানগানন থেকে ঘুরে আসা একটি ট্রাভেলগ, স্কুলের নানান অনুষঙ্গ আর মজার কথা, স্মৃতিচারণ, নস্টালজিয়া। আর রইল, আমাদের ফেসবুকের বৈঠকী গ্রুপ "আমাদের ইশকুল"-এর কিছু নির্বাচিত আড্ডার সংকলন।
রইল সিস্টার নিবেদিতার সমস্ত লেখার সংকলন এবং তাঁকে নিয়ে লেখা অনেক বইয়ের লিংক, "প্রবুদ্ধ ভারত"-এর বছরের বিশেষ নিবেদিতা সংখ্যাও।
বরাবরের মতোই এবারের সংখ্যাও সম্পাদনা করেছে একই টিম। যদিও এক শহরে নেই কেউই।
সবাইকে অনেক শুভেচ্ছা, ভালবাসা আর ধন্যবাদ জানিয়ে
দোয়েলপাখি দাশগুপ্ত
সম্পাদক (১৯৯৬)
সহযোগিতায়ঃ
মন্দাক্রান্তা দাশগুপ্ত (২০০৪)
প্রমিতা মৈত্র (২০০৮)
ডালিয়া ঘোষ দস্তিদার (১৯৯৬)
"Khub bhalo" "bhishon bhalo" ja e boli na Kano, understatement hobe. Dosh bochhor ager jogot tay ki onayaase chole gelam porte porte. Aar hoosh kore kokhon jeno sob pora hoye gelo. Darun ekta golper boi er sheshe, ba bijoya doshomir dine, ba roller coaster ride er sheshe, ba chhutite byarate jawar shesh dine jemon ekta "jaah! Shesh hoye gelo" rokomer deerghoshwash pore, thik serokom ta e holo.
ReplyDeleteপ্রথমেই দুঃখিত এতদিন বাদে অপাঠ্য পড়ার জন্য। আসলে তাড়াহুড়োর মধ্যে পড়তে চাইনি।কিন্তু এবারের অপাঠ্য অসাধারণ। আমাদের সবার আদরের স্কুল, প্রিয় নিবেদিতাকে নিয়ে লেখাগুলো খুব সুন্দর।
ReplyDelete