১২ অক্টোবর। রাত্তিরের দার্জিলিঙে
বেশ হাড়কাঁপানো ঠান্ডা। সারাদিন চারপাশ ঢাকা ছিল মেঘ আর কুয়াশায়। কম্বলটা পায়ের
কাছ থেকে টেনে ভালো করে গলা পর্যন্ত ঢেকে নিলেন সিস্টার। সিস্টার। নিজের মনেই
বিড়বিড় করে দু-তিনবার আউড়ে নিলেন – ‘সিস্টার। সিস্টার।
সিস্টার।’
আজ তেরো বছর ধরে এই-ই তাঁর সবচেয়ে বড়ো
পরিচয়। তেরো বছর আগের একদিনে মোম্বাসা জাহাজে করে প্রথম পা রেখেছিলেন এদেশের
মাটিতে। তখনও তিনি মার্গারেট। আইরিশ রক্তের পরিচয় তখনও ক্রমবিলীন হয়ে যায়নি ‘নিবেদিতা’ নামের আড়ালে। আজও
সেদিনটা স্পষ্ট মনে করতে পারেন তিনি। জাহাজের ডেক থেকেই দেখতে পাচ্ছেন, ওই তো জেটিতে
দাঁড়িয়ে রয়েছেন তাঁর ঈশ্বর---গেরুয়া আভা বিচ্ছুরিত হচ্ছে সারা দেহ থেকে। টানা টানা
বিশাল আয়ত চোখ যেন টলটল করছে অকূলপ্লাবী মায়ায়।
লেডি মার্গসনের বাড়িতে যেদিন প্রথম দেখেছিলেন তাঁকে, সেদিন যে চোখ জ্বলজ্বল
করছিল শাণিত ক্ষুরধার মেধার দীপ্তিতে, তারই যেন অন্য এক রূপ দেখতে পেলেন তিনি। কত
কথা মনে পড়ে যায় একে একে।
এখানে এই রোগশয্যায় শুয়ে থাকতে আর ভালো লাগে না। জানলার দিকে মুখ ফিরিয়ে
এতক্ষণ রাতের দার্জিলিং দেখছিলেন তিনি। পাশ ফিরতে গিয়ে খেয়াল করলেন, অবলা কখন যেন
ঘুমিয়ে পড়েছে তাঁর বিছানার পাশের চেয়ারটায় বসে থাকতে থাকতে। আহা বেচারি! কত রাত
অক্লান্ত সেবা করে চলেছে মেয়েটা। আস্তে করে উঠে
বসলেন বিছানার উপর। অবলাকে সাবধানে পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে এলেন বারান্দায়। ভারী
আলোয়ানটা ভালো করে জড়িয়ে নিলেন গায়ে। সেই যেবার বিদেশে প্রবল অসুস্থ হয়ে পড়ল অবলা,
তখন তিনিই সেবাশুশ্রূষা করে সারিয়ে তুলেছিলেন তাকে। এবারে যেন অবলার সেই ঋণশোধের
পালা। ও যেন প্রতিজ্ঞা করেছে, যে করে হোক, তাঁকে সারিয়ে তুলবেই! একটা ছোট্ট
নিশ্বাস পড়ল সিস্টারের। যে যাই বলুক, অবলা যতই প্রাণপাত করুক, নীলরতন সরকার যতই
আশ্বাস দিন না কেন, সিস্টার বেশ বুঝতে পারছেন সব পণ্ডশ্রম। এবার তাঁর যাওয়ার সময়
হয়ে এসেছে। এবার সব কাজ গোটানোর পালা।
ঠিক ছয়দিন আগেই তিনি তাই উইল তৈরি করে দিয়েছেন। বস্টন থেকে মিস্টার থর্পের
পাঠানো যে তিনশো পাউন্ড রাখা আছে কলকাতার ব্যাঙ্কে, তার সঙ্গে সারা বুলের সম্পত্তি
থেকে পাওয়া সাতশো পাউন্ড জুড়ে পুরোটাই তিনি লিখে দিয়েছেন বেলুড়ের মঠের ট্রাস্টির
নামে। এ ছাড়া রয়েছে, তাঁর বইপত্র ও লেখালিখি থেকে আসা কিছু টাকাপয়সা। সব মিলিয়ে
একটা স্থায়ী ফান্ড তৈরি করে ক্রিস্টিনের পরামর্শমতো স্কুলের কাজে সেসব খরচা করা
হোক। এই নির্দেশই লেখা হয়েছে তাঁর ইচ্ছাপত্রে। এই অসময়ে উইল তৈরি করা, ক্রিস্টিনের
হাতে স্কুলের ভার ছেড়ে দেওয়া---এসবেরই মানে সবার কাছে দিনের আলোর মতো পরিষ্কার।
জগদীশবাবু তো উইল পড়ার সময় সামনেই থাকতে চাইছিলেন না। তাঁর কষ্টটাও ছুঁয়ে যাচ্ছিল
সিস্টারকে। কিন্তু এ তো দুর্বলতার সময় নয়! তাই জোর করেই, প্রায় ধমকধামক দিয়ে তিনি
ডেকে পাঠালেন স্নেহের জগদীশ বাবুকে।
সারাটা জীবন ধরে কোনওদিন এতটুকু দুর্বলতাকে প্রশ্রয় দেননি সিস্টার। এই যে
স্কুলের মেয়েরা তাঁর চোখের মণি, যাদের স্কিপিং করার দড়ি কম পড়লে কতদিন নিজের গাউন
বাঁধার দড়িটি খুলে তিনি অবলীলায় দিয়ে দিয়েছেন, তারা যেমন তাঁকে ভালোবাসে প্রাণ
দিয়ে, তেমনই ভয়ও পায়। জানে, সিস্টারের চোখকে ফাঁকি দেওয়া অসাধ্য। এতটুকু শৈথিল্য
তাঁর স্বভাবে নেই। তিনি জানতেন, স্কুলের মেয়েদের অনেককেই বাড়িতে অনেক কাজকর্ম করে
তবে আসতে হয় স্কুলে। তার জন্য তাদের প্রতি তাঁর যত্নও বড়ো কম ছিল না। প্রতি
একাদশীর পরদিন স্কুলের বিধবা পড়ুয়াদের তিনি নিজের ঘরে ডেকে বসিয়ে ফলমিষ্টি খাওয়াতে
ভুলতেন না কোনওদিন। তবু স্কুলের ক্লাসঘরের পাশ দিয়ে যেতে যেতে একদিন যখন দেখলেন,
স্নেহের ছাত্রী ঢাকাই মা ঘুমে ঢুলছে, সঙ্গে সঙ্গে তাকে ডেকে পাঠিয়ে বলেছিলেন, ভালো
করে বিশ্রাম নিয়ে তবেই যেন দ্বিতীয় দিন স্কুলে পা দেওয়া হয়। ঢাকাই মার সে কী
কান্না! নিজের মনেই একটু হাসলেন সিস্টার। মনে পড়ছে নাকে ছোট্ট নোলক পরা নির্ঝরিণীর
কথা, ‘পুরস্ত্রী
বিভাগ’-এর
মেয়েদের কথা। ছোট্ট ছোট্ট ঝকঝকে মুখগুলোর কথা মনে হলে কোন এক অজানা আবেগে যেন
ভেসে যান তিনি। কিন্তু না। আর মায়ায় জড়াবেন না সিস্টার। আজ তাঁর বাঁধনছেঁড়ার সময়।
আজ খুব মনে পড়ছে স্বামীজির কথা। তাঁর সঙ্গে শেষ দেখা হওয়ার কথা। সেদিন খুব
খুশি ছিলেন স্বামীজি। নিজে হাতে বেড়ে খেতে দিয়েছিলেন প্রিয় শিষ্যাকে। ভাত, আলুসেদ্ধ,
কাঁঠালের বীজসেদ্ধ আর বরফ দিয়ে ঠান্ডা করা দুধ। সামান্য আয়োজন। খাওয়ার পর নিজের
হাতে জল ঢেলে হাত ধুইয়ে, পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে হাত মুছিয়ে দিয়েছিলেন সেদিন।
সিস্টারের মৃদু আপত্তি ধোপে টেঁকেনি। ‘স্বামীজি, আমি তো আপনার শিষ্যা! এসব তো আমারই
করা উচিৎ আপনার জন্য!’ একথা শুনে অট্টহাস্য করে স্বামীজি বলেছিলেন, ‘কেন? মনে পড়ে না?
যিশু
কী করেছিলেন তাঁর শিষ্যদের জন্য?’ ‘কিন্তু সে তো তাঁর
শেষ সময়ে!’ কথাটা বলতে গিয়েও চেপে যান সিস্টার। এক অজানা আশঙ্কায়
বুকের ভেতরটা দুরদুর করে ওঠে। তার কিছুদিনের মধ্যেই এল সেই দিন।
৪ জুলাই। খবর পেলেন সিস্টার, স্বামীজি আর নেই! মুহূর্তে মনে হল, জীবনটা যেন
কবন্ধ হয়ে গেছে। স্থির হয়ে গিয়েছিলেন সিস্টার। বেলুড়ে স্বামীজির ছোট্ট ঘরটা সেদিন
যেন ফেটে পড়ছে ভিড়ে। মাঝখানে শায়িত তাঁর দেহ। যেন বুদ্ধের নির্বাণদৃশ্য। সকলে
প্রিয় গুরুভাইয়ের স্মৃতিচারণা করছে। শুধু তাঁর মুখে কোনও কথা নেই। মনে হল, এত ভিড়ে
স্বামীজির গরম লাগছে না তো? ঘরের কোণ থেকে তালপাতার পাখাটা তুলে নিয়ে স্বামীজিকে
হাওয়া করতে শুরু করেছিলেন, যতক্ষণ না গঙ্গাতীরের বেলগাছটার নীচে সাজানো চিতাশয্যায়
তুলে নিয়ে যাওয়া হল তাঁকে। একবার তাঁর মনে হয়েছিল, স্মারক হিসেবে স্বামীজির কাপড়ের
একটু অংশ কি কেটে রাখতে পারেন তিনি? পরমুহূর্তেই মনে হল, না। থাক। দৃষ্টিকটু দেখায়
যদি! সেদিন সন্ধ্যায় যখন জ্বলে উঠল চিতার আগুন, ঠায় সেদিকে তাকিয়ে বসেছিলেন
সিস্টার। অন্ধকার গাঢ় হয়ে এসেছে। তখন চিতাগ্নি নির্বাপিতপ্রায়। হঠাৎ মনে হল, জামার হাতায়
যেন টান পড়ল! চমকে উঠে তাকিয়ে দেখেন, পায়ের কাছে উড়ে এসে পড়েছে, স্বামীজির গেরুয়া
উত্তরীয়ের একটা টুকরো। আশেপাশে তখন কেউ নেই। গভীর শ্রদ্ধায় টুকরোটা দুহাতে তুলে
নিয়েছিলেন। মন
ভরে উঠেছিল এক আশ্চর্য শান্তিতে। অনুভব করেছিলেন তিনি। স্বামীজি আছেন। আছেন। আছেন।
মনে পড়ে গিয়েছিল তাঁর, স্বামীজির মুখেই তো কতবার শুনেছেন, আত্মা অমৃতময়। অবিনশ্বর।
আর তিনি কিনা দুঃখে, নৈরাশ্যে কাতর হয়ে পড়েছিলেন? না, না, এত বড়ো ভুল তাঁর হয়েছিল
কী করে? ভাবতে ভাবতে গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল সিস্টারের।
এইজন্যেই আজ তাঁর মন এত শান্ত, স্থির। ‘বাসাংসি জীর্ণানি যথা বিহায় নবানি
গৃহ্নাতি নরোহপরাণি। তথা শরীরাণি বিহায় জীর্ণান্যন্যানি সংযাতি নবানি দেহী।।’ একথা তিনি ভোলেননি।
‘স্বামীজি আপনি
শুনতে পাচ্ছেন? আপনার নিবেদিতা একথা ভোলেনি। আমি পেরেছি স্বামীজি? আপনার স্বপ্নকে
ছুঁতে? কিন্তু স্বামীজি, আমার যে অনেক কাজ বাকি রয়ে গেল! কে শেষ করবে সে কাজ? আজ
এই মেঘে ঢাকা পাহাড়চুড়োর মতো অন্ধকার যে নেমে আসতে চাইছে আমার জীবনে! প্রদীপের
সলতেটুকু যে রাতের আঁধারে পুড়তে পুড়তে নিমীলিতপ্রায়! কে তাকে উসকে দেওয়ার ভার
নেবে? আমি যে সূর্যোদয় দেখতে চেয়েছিলাম!’
ভেতরে ভেতরে অস্থির হয়ে পড়েন সিস্টার।
এমন সময় আকাশের পুবকোণ থেকে হঠাৎ একটুকরো আলো এসে পড়ে তাঁর মুখে। মাথা তুলে
সিস্টার দেখেন, চারপাশটা সোনালি লাল রঙে ভরে উঠছে। অকালবসন্তের ফাগ নিয়ে মেতে
উঠেছে সকালের প্রথম আলো। কাল রাতের মেঘ কেটে ঝলমলিয়ে উঠছে পাহাড়।
সিস্টারের মনে পড়ে যায়, শৈলশহর আলমোড়ায় থাকার সময় এমনই এক ভোর দেখেছিলেন তিনি।
সেদিন প্রত্যূষের আলোর সঙ্গে মিশে গিয়েছিল স্বামীজির উদাত্ত কণ্ঠস্বর—‘খণ্ডন-ভব-বন্ধন
জগ-বন্দন বন্দি তোমায়’। সব বন্ধন খণ্ডনের এই তো সময়! কীসের ভয়? কীসের বিভ্রান্তি?
কীসের দীর্ঘশ্বাস? সূর্যোদয় যে হবেই! তাঁকে তো সেই অরুণোদয় দেখতে হবে! ক্রমশ শান্ত
হয়ে আসে সিস্টারের অশান্ত মন। আস্তে আস্তে ঘরে ফেরেন তিনি।
সকালে সবাই বেশ উদ্বিগ্ন। সিস্টারের শরীরটা আবারও খুব খারাপ। শুধু মুখে এক
ভুবনভোলানো হাসি। সেখানে কোনও যন্ত্রণার ছাপ নেই। যেন নতুন জীবন শুরু হতে চলেছে
তাঁর। ঘড়িতে সাতটা বাজতে পাঁচ। বাইরে বারান্দায় অস্থির পায়চারি করছেন নীলরতন সরকার।
জগদীশ আর অবলা বসে আছেন বিছানার পাশে। অবলার দুচোখে জল। সিস্টার সেদিকে তাকিয়ে মৃদু
হাসলেন শুধু।
অবলার মনে পড়ে যাচ্ছে সিস্টারেরই মুখে শোনা হৈমবতী উমার গল্প। এ যেন আর এক উমা
তাঁর সামনে। তুষারের দেশের মেয়ে, এ দেশের মাটিতে বিপুল কর্মযজ্ঞের শেষে এই
তুষাররাজ্যে এসেই হয়তো ফিরে যেতে চাইছেন সেই অচিন দেশে, যেখান থেকে কেউ ফেরে না।
চোখ দুটো ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে বারবার। জল মুছে সিস্টারের মুখের দিকে ভালো করে চাইতেই
অবলার মনে হল, কী যেন বলতে চাইছেন তিনি! বলার আবেগে জ্বলজ্বল করছে প্রখর দুটো চোখ।
রোগজীর্ণ পাণ্ডুর মুখে যেন প্রত্যাশার সবটুকু দীপ্তি এসে জড়ো হয়েছে।‘কিছু বলবেন
সিস্টার?’ কেঁপে গেল জগদীশ বোসের গলা। ঘরে একমুহূর্তের নীরবতা।
তারপরেই স্তব্ধতা ভেঙে সিস্টার কথা বলে উঠলেন। ‘দ্য বোট ইজ
সিঙ্কিং। বাট আই শ্যাল সি দ্য সানরাইজ।’ তাঁর আদেশ পালন করতেই যেন সঙ্গে সঙ্গে
ঘরের মধ্যে ছুটে এল একঝাঁক রোদ্দুর। বরফের ওপর ঠিকরে পড়া সূর্যের সেই আলোর দিকে
স্থির দৃষ্টিতে একবার তাকালেন সিস্টার। পরম প্রশান্তিতে বুজে এল দুটো চোখ। আর খুলল
না।
অরুন্ধতী দাস [২০০৭]
মন ভিজিয়ে দেওয়া লেখা... ঃ')
ReplyDeleteঅসাধারণ..মন ছুঁয়ে গেল
ReplyDeleteOsadharon. Tobu jante icche kore thik ki osusthotay ei bishal kormojoggo theke ei osomoye chole jete hoyechilo sister ke.. keu ki janen?
ReplyDeleteসিস্টার ব্লাড ডিসেন্ট্রিতে ভুগছিলেন শেষ সময়টায়। এ ছাড়া তার কিছুদিন আগেই ব্রেন ফিভারও হয়েছিল তাঁর। বহুকষ্টে সুস্থ হয়েছিলেন
Deleteআসলে, আয়ারল্যান্ডের মানুষ, এ দেশের জলবায়ু সহ্য হয়নি তাঁর। তার ওপরে প্রবল পরিশ্রমের ধকল সয়নি।
নীলরতন সেন র পরিবর্তে সরকার হবে কী?? (আমার বাবা বললেন)
ReplyDeleteআর তোর লেখার বাধঁনে অভিভূত..
Hnya sarkar hobe. Tarahuroy baad pore gyachhe edit kora hoyni. Thanks Ekata
Deleteঅবশ্যই সরকার হবে। কী আশ্চর্য একটা ভুল হয়েছে! আসলে সেই সময়টায় নীলরতন সেনের কিছু প্রবন্ধ পড়তে হচ্ছিল আমায়, ব্যক্তিগত পড়াশোনার কাজে। সেই জেরটা এখানে ভুলবশত চলে এসেছে। কী বিশ্রী ভুল! আন্তরিক দুঃখিত।
Deleteআরে ভুল তো ভুলবশত হয়েছে। তুই যে এত্তো study করে লিখেছিস..কী যে বলব,ভাষাহীন।চোখে জল এনে দিয়েছিস।
Deleteআমার বাবাকে আত্মীয়বিয়োগ ছাড়া কাদতে দেখিনি..এই রচনা পড়ে বাবার চোখে ও জল..
Deleteতোমার বাবাকে আমার প্রণাম ও ধন্যবাদ জানিয়ো।
Deleteknadiye chharli dhuti ... thik korli na ..
ReplyDelete:-)
Deleteআর নামকরণ -এর জন্য ১০০য় ২০০.নিজে এরকম কিছু লেখা লিখতে পারলে গর্ব হত
Deleteকিছুক্ষণ স্তব্ধ হয়ে বসে রইলাম লেখাটা পড়ে । অপূর্ব লেখার বাঁধন। চোখে জল এসে যায়।
ReplyDeleteashadharon hoyechhe !
ReplyDelete