স্কুল
বললেই চোখ বুজলে দেখতে পাই সেই সবুজ বারান্দা...বুদ্ধদেবের মূর্তি... মায়ের সিংহাসন। নিকোনো উঠোন, তাতে কবাডি খেলছে আমার বালিকাবেলা।
কোথাও
কি চোখ মোছে একটুকরো শৈশব?ছোটবাড়ি- কিভাবে যেন ভুলে যাই। ভুল হয়ে যায় লেখার সময়। পরক্ষণেই চমকে উঠি। ভোলা যায় নাকি সেই প্রথম একা একা বাসে ওঠা। অহনা দিদি, মৌমিতা দিদি, চিরশ্রী দিদির সাথে "তোমরা কি ভাই বলতে পারো আরেকটি ফুলের নাম" খেলা কিংবা অর্পিতার সাথে পরীক্ষার সময় কথা বলে পাঁচ নম্বর মাইনাস হওয়া?
ভুলি না আমরা কেউই। তবু মাঝে মাঝে ভুল হয়ে যায়। স্কুলে যাই। ছোটবাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে সেই ছোট্ট আমার অপেক্ষায়। এখন তার ঠিকানা বদলেছে। চেনা দিদিরাও বোধ হয় সবাই নেই। নতুন বাড়িতে গিয়েছি দু'এক বার। সরস্বতী পুজোয় বড়বাড়ি থেকে বেরনোর সময় অনেকবার দেখেছি আমাদের পুরনো ছোটবাড়িকে। অভিমানে ঠোঁট ফুলিয়েছে সে। এখন সেখানে শিল্পবিভাগ।
গত
বছর অনেকদিন পর আবার সেই বাড়িতে ঢুকেছিলাম। প্রদর্শনী চলছিল তখন। আনাচে কানাচে
ঘুরে বেড়ালাম অনেকক্ষণ। সেই রঙ্গন গাছটার কথা মনে পড়ছিল খুব, যাকে দেখে প্রথম
কবিতা লিখেছিলাম। শখ হয়েছিল অমন এক গাছ বাড়িতেও থাকুক।
ফেরার
পথে তেঁতুলের আচার খেতে খেতে আসছি,
মনে
হল হাসছে সে। খুশি হয়েছে আমার ছোটবাড়ি। আদরে, প্রশ্রয়ে
জড়িয়ে ধরছে সে আমায়, ছোটবেলার মতোই।
মন্দাক্রান্তা
দাশগুপ্ত [২০০৪]
ভালো লাগলো বেশ
ReplyDeleteছোট্ট লেখা। কিন্তু কী আন্তরিক!
ReplyDeletemon chue gelo..rangon gach ta amr o boro priyo chilo..niyom r majhe ektukro oboshor r moto
ReplyDeleteAi lekha gulo pore mone hoi chute chole jai amar fele asa swapner din guli te....
ReplyDelete